ফ্লোরিডার ভবন ধসের ঘটনায় নিখোঁজের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত ১৫৯ জনের নিখোঁজের কথা জানা গিয়েছে। আর মারা গেছে ৪ জন। নিখোঁজদের জীবিত পাওয়ার আশায় এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় মেয়র।

জীবিতদের উদ্ধারের আশায় খুব সাবধানতার সাথে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। তবে সময়ের সাথে সাথে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষিণ হয়ে আসছে। এদিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে কেন্দ্রীয় জরুরি বিভাগকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অঙ্গরাজ্যটির মায়ামির পার্শ্ববর্তী সার্ফসাইড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। যে ভবনটি ধসে গেছে সেটি আবাসিক ভবন; যারা নিখোঁজ রয়েছেন তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ জন লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক। বিবিসি বলছে, ৪০ বছরের এই পুরনো ভবনটি কেন ধসে পড়েছে তা জানা যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

১০২ জন মানুষ ওই ভবনটি থাকতেন। তবে এটি ধসে পড়ার সময় ভেতরে কতজন ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করে এরই মধ্যে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার পর মায়ামি-ডেড কাউন্টির ডেপুটি কমিশনার সেলি হেইম্যান বলেন, এই ভবনে অনেকেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। আবার কেউ কেউ শীতের সময় এসে সেখানে থাকতেন।

ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।